একজন মানুষের শরীরের প্রতিটি কোষ, অঙ্গ ও টিস্যু পানির ওপর নির্ভরশীল। পানি ছাড়া একজন মানুষ অল্প কয়েকদিনই বেঁচে থাকতে পারে। পানি ত্বক ভালো রাখে, হজমে সাহায্য করে, শরীরে তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে। এ ছাড়া পানির রয়েছে অনেক রকম কাজ।

আর তাই, শরীরে পানির ঘাটতি হলে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়। শরীরে পানিশূন্যতার লক্ষণ ও এর প্রতিরোধের উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসাবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন।

যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন এবং প্রচুর পরিশ্রম করেন তাদের পানি একটু বেশি পান করতে হবে। তাদের নিয়মিত ১০ গ্লাস পানি পান করা প্রয়োজন।

পানি শূন্যতা বোঝার উপায়

◽শরীরে পানির ঘাটতি হলে মাথাব্যথার সমস্যা হতে পারে। পানিশূন্যতা হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও রক্ত প্রবাহ কমে যায়। আর এ থেকে মাথাব্যথা হয়।

◽মানুষের মস্তিষ্ক ৯০ ভাগ পানি দিয়ে তৈরি। তাই পানির ঘাটতি হলে মস্কিষ্কে এর প্রভাব পড়ে। পানিশূন্যতা স্মৃতি, মেজাজ ও সীদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।

◽পানি শূন্যতা হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। পানির ঘাটতি হলে শরীর লালা কম উৎপাদন করে। এর কারণে মুখে ব্যাক্টেরিয়া বেশি তৈরি হয় এবং মুখে দুর্গন্ধ হয়।

◽পানি পায়খানা ভালোভাবে হতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। পানিশূন্যতা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া ও হজমের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

◽প্রস্রাব ঠিকঠাকমতো হওয়া মানে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি রয়েছে। প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হলে বুঝতে হবে শরীরে পানির ঘাটতি রয়েছে।

◽হঠাৎ অবসন্ন বা ক্লান্ত লাগছে। পানি পান করুন। অবসন্নভাব কিন্তু শরীরে পানির ঘাটতির অন্যতম একটি লক্ষণ।